একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে আমিনুল ইসলাম।
তিনি জাতীয় দৈনিক সমকালের তাহিরপুর প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর এর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
মঙ্গলবার তাহিরপুরের আমল গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। অভিযুক্তর বাবা মৃত আব্দুল মালিক স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। অভিযুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সোর্সের দায়িত্ব পালন করত বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আরো বলা হয়েছে, একাত্তরের ৭ জুলাই পাকবাহিনীর সঙ্গে ট্যাকেরঘাট ৫নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলির সময় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আসামি আমিনুল ইসলাম ও তার বাবা আব্দুল মালিক উপস্থিত থেকে শহীদ সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যায় সহযোগিতা করে। সিরাজ হত্যায় আনন্দ করতেও অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে দেখা যায় বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
সেই সঙ্গে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অভিযুক্তর বাবা আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকার লুটপাটের দায়ে তাহিরপুর থানায় মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে জনসম্মুখে গাছে বেঁধে মারধর করে।
এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে, তাহিরপুর উপজেলার গোলকপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রৌফ, বানিয়াগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জুনাব আলী, নালেরবন্দ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, মন্দিয়াতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, কাউকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা করম আলীকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যার্থে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন