রুপপুর বালিশ কাণ্ডের মতই আরেক ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে। যেখানে সাড়ে ৩ টাকা মূল্যের একটি হেডকার্ডিয়াক স্টেথিসকোপের দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এরকম ৪টি স্টেথোসকোপ আনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ধরনের ১১৬টি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতেও নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়।
এদিকে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে মন্ত্রণালয়। যার কারণে বকেয়া টাকা পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে এত বড় অনিয়ম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিষয়টি ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে ২০১৪ সালে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে রিপোর্টের ভিত্তিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি ফেরত নিতে বলা হয়। সেইসঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় অর্থ পরিশোধ না করে চুক্তি বাতিল করেছে। আর সেটিই আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। এখন দুদককে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন