দাতা সংস্থাগুলো ছোট এনজিও’র কাজের ক্ষেত্র নষ্ট করছে
নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে দাতা সংস্থাগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণ ও বড় এনজিওগুলো কর্তৃক স্থানীয় প্রতিনিধিকে সমন্বয় না করার কারণে ছোট এনজিওগুলোর কাজের ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সিএসও এনজিও সমন্বয় প্রক্রিয়া।
জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, বড় বড় এনজিওগুলো কারি কারি টাকা খরচ করে বিদেশি কর্মকর্তাদের নিয়োগ করছে। দাতা সংস্থাগুলোও বড় এনজিওগুলোকে অর্থায়ন করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তারা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজে অংশ নিচ্ছে। এতে করে ছোট এনজিওগুলোর কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কারণে দেশের ছোট এনজিওগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার যুবক-যুবতী বেকার হয়ে পড়ছে।
এ নারী নেত্রী অভিযোগ করেন, দেশের একটি এনজিও’র ১৮টি গাড়ি আছে। অপরদিকে দেশীয় এনজিওগুলো তাদের মাঠের কর্মকর্তাদের নিয়মিত পাওনা দিতে পারছে না। তাই দাতা সংস্থাগুলোকে এনজিওগুলোর জন্য স্থানীয়করণ জোরদার করতে হবে।
ইপসার ঊর্ধতন কর্মকর্তা মো. আলী শাহিন বলেন, দাতা সংস্থাগুলো এখন নিজেই অপারেশনাল কাজে নেমে পড়ছে। এতে দেশীয় এনজিওগুলো আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি তাদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়ছে। আমরা চাই দাতা সংস্থারা এনজিওগুলোকে কারিগরি জ্ঞান ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে সহায়তা করুক। মাঠের কাজে স্থানীয়করণ করা হোক।
এর আগে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ‘আমরা দায়বদ্ধ’ ও ‘প্রত্যাশার সনদ’ নামে দু’টি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইপসা চট্টগ্রামের কর্মকর্তা ওমর শাহেদ হিরু ও স্বপ্নিল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. আলী সিকদার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন