দুই ভবনের মাঝের অংশকে ‘নোম্যান্স ল্যান্ড’ আখ্যায়িত করে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ওখানটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের নয়।
মঙ্গলবার গুলশানে ফজলে রাব্বি পার্কে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে চিরুণি অভিযান শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘দুই বাড়ির মাঝখানের অংশ নোম্যান্স ল্যান্ড। এটি পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের না। ভবনের দশম, নবম, অষ্টম তলা, ছাদের ওপর, বেলকুনি, বারান্দা কিংবা গ্যারেজে এডিস মশা জন্ম নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে পরিষ্কার করা সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চিরুণি অভিযান শুরু করছি। প্রথম সাত দিন পরিষ্কার অভিযান চলবে। এর ৭-১০ দিন পর আমরা সেখানে আবার যাব। লার্ভা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রশ্ন রেখে আতিকুল বলেন, ‘নিজেরা কেন আমাদের বসবাসের জায়গা পরিষ্কার রাখব না? গতকাল সোমবার অনেক জায়গায় গিয়েছি। সামনে খুবই সুন্দর, পরিপাটি। অথচ ভেতরে নোংরা। সেসব অনেক জায়গায় আমরা এডিসের লার্ভা পেয়েছি। এজন্য অনেককে জরিমানাও করতে হয়েছে।’
অভিযান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগ এবং ১০টি সাব ব্লকে ভাগ করেছি। এসব জায়গায় প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা চিরুণি অভিযান চালানো হবে।’
মেয়র আহ্বান জানান, ‘এডিস থেকে বাঁচতে হলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমার অনুরোধ, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পর আপনারাও কাজ করবেন। সিটির ৫৪ কাউন্সিলরকে অনুরোধ করব- আপনারাও মাঠে নেমে পড়ুন।’
এ সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবিন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন