পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে আমরা কারও কাছে দান-খয়রাত চাই না। আমাদের কাজের সুযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিলেই হবে।
জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের (জিপিইডিসি) সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৯ থেকে ১৯ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত জিপিইডিসি সম্মেলনের সিনিয়র লেভেল মিটিং এবং হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বৈঠকগুলোতে অংশ নিতে পরিকল্পনামন্ত্রীর নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা নিজেদের অর্থে এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। সেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে জাতিসংঘে। তাছাড়া সৃজনশীল কাজ হিসেবে এসডিজি ট্র্যাকার তৈরির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
‘সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যাতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকে এবং তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।’
তিনি জানান, হাঙ্গেরী আমাদের পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দিতে চেয়েছে। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তাদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
মন্ত্রী জানান, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রাজস্ব আদায় বাড়ছে সুতরাং এসডিজি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রমাণসহ অভিযোগ দিতে হবে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
‘আমরা শুধু আয় দিয়ে দারিদ্র্য পরিমাণের পদ্ধতি ব্যবহার করবো না। কেননা এখন এটি দারিদ্রের বহুমাত্রিকতা দিয়ে পরিমাপ করা হয়। যেমন একজন মানুষ কোথায় বাস করে, তার শিক্ষা, চিকিৎসা কী ধরনের ইত্যাদি প্রায় ১০টি সূচক দিয়ে অনেক দেশ দারিদ্র্যে পরিমাপ করে। আমাদেরও সেদিকে যেতে হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন