রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলাার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তাসলিমা হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিন আসামি রিমান্ডে রয়েছে। দুজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে হৃদয়কে শনাক্ত করেছে পুলিশ। গণপিটুনির ভিডিও দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শুনেছি রেনু হত্যার প্রধান আসামি হৃদয়কে গুলিস্তান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বল । তবে এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব।
শনিবার সকালে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন তাসলিমা বেগম। তার দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে স্কুলের গেটে কয়েকজন নারী তাসলিমার নাম-পরিচয় জানতে চান। পরে লোকজন তাসলিমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাইরে কয়েকশ লোক একত্র হয়ে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। স্কুলের ফাঁকা জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাসলিমার বোনের ছেলে সৈয়দ নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন