বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পেলে আলোচিত হয় এই হত্যাকাণ্ড। ভিডিও ফুটেজে যারা রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নির সাহসী ভূমিকা দেখেছেন, তাদের প্রশ্ন কেন এমনটি ঘটল? মামলায় যেখানে মিন্নির বাদী হওয়ার কথা, সেখানে তাঁকে সাক্ষী করা হলো। আবার সাক্ষী থেকে আসামির কাঠগড়ায় যেতে হলো। কারণ স্বামী হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিন্নি এখন জেলে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, রিফাত হত্যা মামলার বাদী-সাক্ষীর ফাঁদে শুরু থেকেই মিন্নির পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে মিন্নিই বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রিফাতকে নিয়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে এমপিপুত্র সুনাম দেবনাথের ঘনিষ্ঠ ও রিফাতের বন্ধু মনজুরুল আলম জন হাসপাতালে ছুটে আসেন। রিফাতকে যখন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হচ্ছিল, তখন মিন্নিও স্বামীর সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনের বাধার কারণে পারেননি।
বরগুনা হাসপাতাল থেকেই মিন্নির পরিবারের প্রতি ফাঁদ পাতা হয়। মিন্নির বাবার টাকায় বরগুনা থেকে বরিশালের উদ্দেশে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করা হয়। বরিশালে রিফাতের চিকিৎসার সব খরচ তিনিই বহন করেন। বিকেলে রিফাতের মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে মিন্নির চাচাশ্বশুর আব্দুস সালাম শরীফ রাতে সেখানে আসেন। পরের দিন সকালে জামাইয়ের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার জন্য মিন্নির বাবা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেন। লাশ ওঠানোর আগে মিন্নির বাবার সঙ্গে জন খারাপ আচরণ করেন। জনের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের লাশকাটা ঘরের সামনে মিন্নির বাবাকে লাঞ্ছিত করে। এমনকি তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেই হাসপাতালের ঘটনার রেশ ধরে অনেকে বলছেন মিন্নি কেন হসপিটালে যায়নি!
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন