ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক
19 Jul, 2019
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু বিলীন হওয়ার অভিযোগ তোলা প্রিয়া সাহার বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। শাকিল চৌধুরী মন্তব্য করেছেন প্রিয়া সাহা কি ভেবেছিলেন বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য। বেশি লাই দিলে মানুষ মাথায় চড়ে বসে। সরকার বুঝি এদের বেশি লাই দিয়ে ফেলেছে। তানভির আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার এদের লাই দিয়ে মাথায় তুলেছে। এবার মাথাই না কাটা পড়ে। শফিকুল ইসলাম রাসেল প্রিয়া সাহা নামে একটি কবিতার চরণ উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘নিজ দেশ ত্যাগী যেন বিদেশ ন যাই’। এরপর তিনি একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, প্রিয়া সাহা এনজিও সেক্টরের পরিচিত মুখ। দারুণ মিশুক স্বভাবের। তার সঙ্গে আমারও ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে প্রিয়া দি বলেই ডাকতাম। তারপর অনেক দিন ধরে যোগাযোগ নেই। তার এক বোন (কাজিন) আমার ফ্রেন্ড। প্রিয়া সাহা পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি ‘শাড়ি’ নামে একটি এনজিও’র নির্বাহী প্রধান। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীতে। থাকেন ঢাকার জিগাতলায়। তার স্বামী দুদকের কর্মকর্তা। তাদের পরিবার সিপিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগে কোনও দিন শুনিনি তাদের পরিবারের ওপরে এমন হামলা হয়েছে। ঘর দুয়োর পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে এখন খোঁজ নিয়ে জানলাম, ওই এলাকায় তার পরিবারসহ আরও একাধিক পরিবার সম্প্রতি একটি চিহ্নিত প্রভাবশালী মহলের আক্রোশের শিকার হয়েছে। এর সঙ্গে মৌলবাদীদের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে তার বক্তব্য শুনে আমি বিস্মিত। তিনি কি ট্রাম্পকে সামনে পেয়ে খুব বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন! নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন? এমন তো হওয়ার কথা নয়।
আমিন ইউ আহমেদ মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রকারী, এই মহিলাকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তৌহিদুজ্জামান তন্ময় প্রিয়া সাহা সম্পর্কে জানান, তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা নাজিরপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন এবং রোকেয়া হলে থাকতেন। তিনি মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি তার এলাকার দলিত সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করেন এবং নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে এই এনজিওর জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনেন। এই যে তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে সেটাও বিদেশ থেকে টাকা আনার ফন্দি। কিছুদিন আগে বাগের হাটের চিতলমারি এবং চরবানিরী সীমান্ত এলাকায় ধান কাটা নিয়ে দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে উভয় এলাকার কিছু লোকের ক্ষতি সাধিত হয়। তিনি সুবিধামত বাড়িতে আগুন দেয়ার সেই ছবি ব্যবহার করে বলেছেন তার নিজের বাড়ী পুড়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন