তোফায়েল আহমেদ নয়ন। বয়স ২৬। সে কাঁচপুরের ফ্রেশ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত ২টায় কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়েছিল নয়ন। কিছু দূর যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক তাকে রাস্তার পাশের গলিতে নিয়ে যায়। নয়ন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই যুবকরা। পরে কয়েকজন নয়নকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন তাকে হত্যা করা হলো এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ ও তার পরিবার। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জমান মানবজমনিকে বলেন, শনিবার রাতে খবর পেয়েই আমরা সেখানে যাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনার কোন ক্লু পাইনি। তদন্ত চলছে। আশা করছি শিগগিরই ঘটনার রহস্য বের করতে পারবো। এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মনিরুজ্জমান বলেন, কোন মামলা হয়নি। আর নিহতের পরিবারের কেউই আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি।
এ নিয়ে নিহতের ভাই সালেহ উদ্দিন রাসেল মানবজমিনকে বলেন, আমার ভাই এই ফ্যাক্টরিতে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করে। সে খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। আমার ভাইয়ের কোন শত্রু থাকার কথা না। কিন্তু কেন আমার ভাইকে এভাবে হত্যা করা হলো? আমি সরকার ও দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।
উল্লেখ্য নিহত নয়নের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর-দক্ষিণ উপজেলার শোভানগরে। তার তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন