বাজেট পাশের আগেই বেড়েছে চিনি, তেল, দুধের দাম
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হতে এখনো প্রায় ১৫ দিন বাকি। অথচ বাজেট পাশের আগেই নিত্যপণ্য চিনি, তেল ও গুড়োদুধের দাম বেড়ে গেছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী এসব পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনির দাম মণপ্রতি বেড়েছে ১২০ টাকা। চিনির পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দামও মণপ্রতি ৯০ টাকা বেড়েছে। আর গুঁড়ো দুধের দাম আধা কেজির প্যাকেটে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পাইকারিতে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৭১০ টাকায়। রোববার সেই চিনি প্রতি মণ দাম বেড়ে ১ হাজার ৮১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগে প্রতি কেজি চিনি আমদানিতে ১৪ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। নতুন বাজেটে শুল্ক শুল্ক বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
প্রস্তাবিত বাজেট, আমদানিকৃত অপরিশোধিত চিনির শুল্ক টনপ্রতি ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির শুল্ক সাড়ে ৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ও সম্পূরক শুল্ক (আরডি) ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
নতুন বাজেটে ভ্যাট আরোপের ফলে ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রতি মণ পাম অয়েলের দাম ছিল ১ হাজার ৮৯০ টাকা। গতকাল প্রতিমণ পাম অয়েলের দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ টাকা। এহিসাবে প্রতিমণ পামওয়েলের দাম ৯০ টাকা বেড়েছে।
একইভাবে সয়াবিন তেলের দাম প্রতিমণ ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। সুপার পাম অয়েলের দাম প্রতিমণ ৬০-৭০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী আহাদ খন্দকার টেলিফোনে পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বাজেট ঘোষণার পর থেকেই চিনি ও ভোজ্যতেল কেনার চাহিদা বেড়ে গেছে। বাজারে এ দুটি পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে বলে গুজব আছে। তাই যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এ দুটি পণ্যের মজুদ আছে তা বাড়তি দামে বিক্রি করেছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের গুঁড়ো দুধের দাম। ৫০০ গ্রামে প্যাকেটের গুড়ো দুধের দাম সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন