নবম ওয়েজবোর্ড-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আসন বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
রোববার সকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্কও হয়।
সভাকক্ষে কে কোন চেয়ারে বসবেন, তা আগে থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় স্টিকার যুক্ত করে রাখে। আসন বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলম।
সকাল ১১টার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শুরু হয় আধা ঘণ্টা পরে। অথচ নির্ধারিত সময়ে সভাকক্ষে ঢোকেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল ও সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহমুদসহ সাংবাদিক নেতারা।
সভাকক্ষে ঢুকেই আসন বণ্টন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবান মাহমুদসহ অন্যরা।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘এটা বৈষম্য। আমাদের ডেকে এনে এত পেছনে বসার ব্যবস্থা করে রীতিমতো অপমানিত করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা কাদের ভাইকে (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) বলব।’
এই আসন বণ্টন নিয়ে কিছু সময় চলে তর্ক-বিতর্ক। কিন্তু, নির্বিকার দাঁড়িয়ে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলম।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সভাকক্ষে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তার পরপরই তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নিয়ে ঢোকেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নবম ওয়েজবোর্ড-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদের আরও কয়েক সদস্য।
মন্ত্রীরা নির্ধারিত জায়গায় বসার পরপরই আসন বণ্টনের বৈষম্য তুলে ধরেন মোল্লা জালাল ও সাবান মাহমুদ।
এ সময় মোল্লা জালাল বলেন, ‘আমরাতো মন্ত্রীদের সঙ্গে এতদূরে বসে কথা বলতে পারব না। আমাদের কথা বলতে হবে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে।’
এ পর্যায়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে তথ্যসচিব আব্দুল মালেক সাংবাদিক নেতাদের সামনে গিয়ে মন্ত্রীদের পাশে বসার অনুরোধ জানান। এরপর মোল্লা জালাল ও সাবান মাহমুদের আসন হয় মন্ত্রীদের পাশে। পরে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন