প্রায় ২৭২ বছরের পুরাতন নিয়ম ভেঙে পরিবর্তন হতে যাচ্ছে কারাবন্দিদের নাস্তার মেন্যু। নতুন নাস্তার মেন্যুতে উন্নত মানের খাবার নিশ্চিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, বৃটিশ আমলে ডায়েট স্কেল অনুযায়ী এতদিন করাবন্দিদের যে খাবার পরিবেশন করা হতো তা নিয়ে কারাবন্দিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ছিল। তাদের খাবার তালিকা বিশেষ করে সকালে যে নাস্তা ছিল তা ছিল খুবই নিম্নমানের।
নাস্তার তালিকায় ছিল আটার রুটি আর আখের গুড়। যা কারাবন্দিরা খেতে চাইতেন না। এ অবস্থায় রংপুর জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে গেলে কারাবন্দিরা তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন। এ সময় তারা সকালের নাস্তায় রুটি, হালুয়া, খিঁচুড়ি ও সবজি দেওয়ার দাবি জানায়।
এছাড়া বন্দীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও সকালের খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে বন্দীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতেও এই খাবার সহায়তা করবে বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে যেকোনো বন্দীকে কারাগারে প্রবেশের পর সকাল বেলার খাবার হিসেবে দুটি শুকনা রুটি ও শুকনা গুড় দেয়া হয়। এছাড়া দুপুরে ও রাতে মাছ ভাত বা মাছ মাংস কিংবা সিডিউল অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়।
বর্তমানে প্রতিটি সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে দৈনিক ১১৬ দশমিক ৬৪ গ্রাম আটা ও ১৪ দশমিক ৫৮ গ্রাম গুড় সকালের নাস্তা হিসেবে প্রদান করা হয়। এই পরিমাণ খাবার বন্দীর সকালের নাস্তার তুলনায় অত্যন্ত কম। অনেক বন্দীকে প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করে খাবারের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কারারক্ষী ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে দেখা যায়। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ নিয়ম না থাকায় এর পরিমাণ বাড়াতে পারেন না।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, নতুন মেন্যুর বিষয়টি জেনে কারাবন্দীরা আনন্দ প্রকাশ করেছে। কারাবন্দীদের বিষয় মাথায় রেখে দীর্ঘদিনের মেন্যু পরিবর্তন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন এই মেন্যু উদ্বোধন করবেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন