বর্ষার আগেই সরকার কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসনচরে স্থানন্তর করতে চাইলেও জাতিসংঘসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ বাধা দিচ্ছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা ভূমিধসসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারালে তার জন্য জাতিসংঘসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থার হাই কমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যান্টনিও ভিটোরিনো এবং জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি শক্ত ভাষায় এ কথা জানিয়ে দেন।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এসময় ভূমিধসে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা কিছু কক্সবাজার থেকে কিছু লোকক ভাসানচরে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু এ কাজে যারা বাধা দিচ্ছে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে এর জন্য তারাই দায়ী থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জোর করে কাউকে ভাসানচরে নেবো না। তবে যারা যাবে তাদের জন্য একটি ভালো অবস্থান হবে। আমরা নিজের পয়সায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে গেলে পরে রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক কাজকর্ম করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের তিন সংস্থার প্রধানকে মিয়ানমারে কাজ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি। আমি বলেছি, আপনাদের এখানে কাজ নাই, মিয়ানমারে যান। ওখানে বেশি জোর দেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান না করা গেলে রোহিঙ্গা যুবকরা উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। এখানে উগ্রবাদ হলে গোটা অঞ্চলের জন্য খারাপ হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন