বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক পিএস ও উপজেলার বাহারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৪৭) এই ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় উল্টো ভুক্তভোগী ওই দুই ছাত্রী এবং তাদের এক বন্ধুকে থানায় দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন।
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা তিনজন থানায় আছেন। থানায় আটক ওই তিনজন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরের দিকে ওই তিন শিক্ষার্থী টিএসসি এলাকায় ঘুরতে এসেছিলেন। টিএসসিতে বসে তারা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তাজুল ইসলাম তার প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দুই ছাত্রীকে লক্ষ্য করে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করেন। পরে তাজুলকে আটক করে সেখানে মারধর করা হয়। এ সময় বিষয়টি তাজুল ইসলাম তার এলাকার পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমনকে জানান।
কিছুক্ষণ পর সুমন কিছু লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি ওই তিন শিক্ষার্থীকে থানায় দিতে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের নির্দেশ দেন। সেখানে সুমনের নিদের্শে ওই তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তখন সুমন সঙ্গে করে অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি টিএসসিতে দাঁড়িয়ে প্যান্টের পকেটে হাত রেখে ফোনে কথা বলতেছি। কথা শেষে আমি টিএসসির বাইরের দিকে আগালে তারা পেছন থেকে আমাকে ডেকে মারধর করেন। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সত্য নয়।’
ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সুমন বলেন, ‘ওই লোক আমার এলাকার। তিনি একজন চেয়ারম্যান, সম্মানিত ব্যক্তি। তার নামে বহিরাগত ওই তিন শিক্ষার্থী যে অভিযোগ করেছে, তা সত্য-মিথ্যা কতটুকু জানি না। তারা তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। এটা খুবই খারাপ করেছে তারা। এ জন্যই তাদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘একজন ছাত্রসহ দুজন ছাত্রীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’
কী অভিযোগে সোপর্দ করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি থানায় নাই, বিষয়টি এখনো জানি না। তবে তাদেরকে অভিভাবকের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে।’
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রক্টর টিমকে আমি আবার থানায় পাঠিয়েছি। তারা পুরো ঘটনা জেনে বিষয়টি দেখবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন