প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁওয়ের জলেশ্বরীতলায় আয়োজন করা হয় হিন্দুধর্মালম্বীদের চড়ক পূজার। এ পূজার প্রধান আকর্ষণ হলো পিঠে কাঁটা (লোহার বড়শি) বিদ্ধ করে শূন্যে ঘোরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সেখানে পিঠে কাঁটা বিদ্ধ করে শূন্যে ভাসলেন রমেশ চন্দ্র রায় (৫০)। এসময় হাজার হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত হয়ে উপভোগ করেন তার এ শূন্যে ভেসে থাকা।
ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানার রামনাথ হাটের রমেশ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চড়ক পূজা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গাদেবীর পূজা সেরে পিঠে কাটা বিঁধিয়ে দীর্ঘ সময় শূন্যে ঘুরেন।
চড়ক পূজা শেষে কথা হয় রমেশের সাথে। তিনি জানান, ছোটকাল থেকেই তার এই নেশা। নেশাটাই এখন পেশার মতো হয়ে গেছে। মানুষকে আনন্দ দিতে ভালোবাসেন তিনি। হাজার হাজার মানুষের সামনে শূন্যে ভেসে তিনিও আনন্দ পান। যখন সব মানুষ শুধু তার দিকেই তাকিয়ে থাকে তখন একটা অন্যরকম তৃপ্তি অনুভব করেন তিনি।
পূজা শেষে পিঠ ক্ষত হয়ে থাকলেও তার তেমন কোন অসুবিধা হয়না। কিছুদিনের মাথায় ক্ষত শুকিয়ে যায়, তবুও দাগ থেকে যায়। আবার বছর ঘুরতেই চলে আসে সেই চড়ক পূজা।
চড়ক পূজার অন্যতম আয়োজক সুকুমার দাস জানান, দীর্ঘ প্রায় ৮-৯ বছর ধরে তারা টাঙ্গন নদীর পশ্চিম পার্শ্বে জলেশ্বরী তলায় এই পূজার আয়োজন করে আসছেন। অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে রমেশ চন্দ্র শূন্যে ঘুরলেও রমেশ কিংবা আয়োজক কমিটি কোনো রকম সরকারি অনুদান পাননা।
তিনি বলেন,সরকারি অনুদান পেলে তারা আরও বৃহৎ পরিসরে চড়ক পূজার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন