যেভাবে পরাজিত গোপালগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তাসবিরুল
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তাসবিরুল হুদাকে ফলাফল জালিয়াতি করে পরাজিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার প্রার্থী স্বয়ং যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধির কার্যালয়ে এসে ফলাফল জালিয়াতির এ চিত্র তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি ঘোষিত ফলাফল বাতিল ও ভোট পুনঃগণনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচন শেষে সন্ধ্যার পর যথানিয়মে রিটার্নিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন।
তাসবিরুল হুদা জানান, মোট ১১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্রে ভোটে তিনি প্রথম হন। অন্যসব কেন্দ্রের ভোটেও তিনি এগিয়ে থাকেন। কোনো কারণ ছাড়াই রাত সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং অফিসার আকস্মিকভাবে ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেন। ওই সময়ই হয় যত ষড়যন্ত্র। অদৃশ্য ইশারায় ফলাফল জালিয়াতি করে আমার পক্ষের গণরায়কে পাল্টে দিয়ে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় তাসবিরুল হুদা গোপালগঞ্জের ৫৪নং সাতপাড় সরকারি নজরুল কেন্দ্রের ফলাফল জালিয়াতি ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের কাছে প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে তিনি চশমা মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ১০৭ ভোট। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নীতিশ রায় পালকি মার্কা প্রতীকে পান ১ হাজার ৪২৯ ভোট। কিন্তু ওই রেজাল্ট সিটের চতুর্থ কলামে বৈধ ভোটের ঘরে ১ হাজার ৪২৯ ভোট দেখানো হলেও ৬নং কলামে মোট বৈধ ভোটের ঘরে ভোট দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৪২৯ ভোট।
প্রিজাইডিং অফিসার ও গণপূর্ত বিভাগ, গোপালগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী শিবলী মাহমুদ স্বাক্ষরিত কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলের শিটে এ ধরনের জালিয়াতির চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
তাসবিরুল হুদা দাবি করেন পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত করতে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ধরনের কারচুপি ও জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
তাসবিরুল হুদা এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। পাশপাশি ওই কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভোটের ফলাফল বাতিলসহ পুনরায় ভোট গণনার জন্য রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে ৫৪নং সাতপাড় সরকারি নজরুল কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও গণপূর্ত বিভাগ, গোপালগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঝামেলার মধ্যে আছেন বলে জানান।
যুগান্তর প্রতিবেদক আধাঘণ্টা পরে কথা বলতে চাইলে তিনি তাতে রাজি হন কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর তাকে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রতিবেদকের ফোন ধরেননি তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন