দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হযরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মায়িশা মনাওয়ারা মিশুর লেখা একটি চিঠি ফেসবুক থেকে পেয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাহমুদুল আলম। আজ বুধবার তিনি ওই চিঠিটি পেয়েছেন বলে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
ইটভাটা বন্ধ করা নিয়ে দিনাজপুরের ডিসি মো. মাহমুদুল আলমের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। চিঠিটি পাওয়ার পর ইটভাটা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি।
ডিসি মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে আজকে ওই চিঠিটি আমি পেয়েছি। চিঠিটি পাওয়ার পর আমি ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এরই মধ্যে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে ওই দুটি ভাটা “যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকবে”-উচ্চ আদালতের এমন একটি নির্দেশনা রয়েছে। তাই সেই ভাটা ভেঙে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।’
ডিসি আরও বলেন, ‘ওই ভাটাগুলো এক বছর আগে থেকেই চালু আছে। কেন নতুন করে সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’
দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর চিঠিটি নিচে তুলে ধরা হলো :
মাননীয় ডিসি স্যার, দিনাজপুর
সালাম নেবেন।
আমরা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হযরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আমাদের স্কুলের পাশে বিপ্লব নামের একজন লোক ইটের ভাটা দিয়েছে। ভাটার কালো ধোয়ায় আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়, পরিবেশের ক্ষতি হয়, চোখ জ্বালা করে। এখন আবার স্কুলের পাশে মুক্তা নামের এক লোক আরেকটা ভাটা দিচ্ছে। তাহলে আমাদের আরও কষ্ট হবে, আমরা কিভাবে বাঁচব। আপনি আমাদের বাঁচান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন