ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুরের কলিতলা এলাকায় মামলা চলা জমিতে ঘর তৈরিতে বাধা দেওয়ায় মুক্তাদির রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে তারই আশ্রয় দেওয়া প্রতিবেশিরা।
বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তাদির রহমান মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মুক্তাদির রহমান তার বাড়ির পাশে নিজের জমিতে প্রতিবেশি দবিদুর রহমানকে বাড়ি তুলে আশ্রয় দেন। পরে দবিদুর ওই জমি থেকে বাড়ি না সরলে মুক্তাদির রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে চলমান আছে। দুপুরে ওই জমিতে নতুন ঘর নিমার্ণ শুরু করেন দবিদুরের মেয়ে রহিমা আক্তার, পারুল বেগম, জামাতা ডোডা মাস্তান ও পারুলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। মুক্তাদির রহমান তাদের ঘর নিমার্ণে বাধা দিতে গেলে সবাই মিলে তাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে হত্যা করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা পারুল বেগম, রহিমা আক্তার ও দবিদুরের ভাইয়ের ছেলে চেলুকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নিহত মুক্তাদিরের ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র মিদুল বলে, বাবা বাড়িতে একা ছিলেন। দুপুরে তিনি ঘর নিমার্ণে বাধা দেওয়ায় ঘাতকরা বাবাকে তাদের ঘরের ভিতরে নিয়ে হত্যা করে। বাবাই পরিবারের সব ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোনেরা এতিম হয়ে গেলাম। খুনিদের কঠিন শাস্তি চাই।
সে জানায়, মুক্তাদির রহমান বেসিক পাওয়ার ইঞ্জিনির্য়ানিং লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজার। চাকরি শেষে বাড়ির পাশে কালিতলা বাজারে ইলেক্ট্রিক মালামালের দোকান করতেন। তার দুই ছেলে এক মেয়েসহ স্ত্রী আছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সমকাল
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন