হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অ্যান্টি-হাইজ্যাকিং গেটে নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে অনুরোধ করায় উত্তেজিত হয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের প্রটোকলে থাকা কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তার সঙ্গে তিন জন প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধান বিচারপতিকে তার গায়ের কোটটি খুলে স্ক্যানিং মেশিনে দেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রধান বিচারপতি কোট খুলতে গেলে পেছন থেকে প্রটোকল কর্মকর্তারা তার পরিচয় জানালে প্রক্রিয়াটি চটজলদি সম্পন্ন করেই তাকে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে নভোএয়ারের সেই ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায়।
প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা কেন তাকে কোট খুলতে বলেছিল এই প্রসঙ্গ টেনে সেখানে হইচই শুরু করেন তার প্রটোকল কর্মকর্তারা। এ নিয়ে এভিয়েশন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও প্রধান বিচারপতির প্রটোকল কর্মকর্তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন এভিয়েশন সিকিউরিটি কর্মকর্তাসহ অন্যদের বকাঝকা শুরু করেন প্রধান বিচারপতির প্রটোকলে থাকা তিন কর্মকর্তা। এভিয়েশন সিকিউরিটিতে প্রেষণে যুক্ত হওয়া একজন সহকারী পুলিশ সুপারের গলায় ঝোলানো আইডি কার্ড ধরে টানাটানিও শুরু করেন তারা।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি বিব্রতকর আমাদের জন্য। মাননীয় প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আসা কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। গালাগাল করেছেন, যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
তিনি জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইনের প্রতিটি বিষয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। তাই প্রধান বিচারপতিকেও নিরাপত্তাকর্মীরা কোট খুলতে বলেছিলেন। তিনি নিজেও কোনও আপত্তি করেননি। তার প্রটোকল কর্মকর্তারা এ বিষয়ে প্রথমে আপত্তি করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরে হইচই শুরু করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোর্ট কর্মকর্তা (প্রটোকল) ওয়ারিস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তার লোকজন মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে তার পরনের কোট খুলতে বলেছিল। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন