পদ্মা সেতুর শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর নবম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬ডি’ আজ বসানো হচ্ছে না।সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নবম স্প্যান আজ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে স্প্যানটি বসানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হবে। এপ্রিলের মধ্যে বসানো হবে আরও একটি স্প্যান। ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসবে বলে আশা করছি।
এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) সকালে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে নিয়ে যায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’।
এরপর আজ সকাল সকাল নয়টার পর শুরু হয় স্প্যান বসানোর কাজ। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বসানো সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
নদীতে যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ বসবে তার মধ্যে ২০৯টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে ৫৩টি পাইল ড্রাইভ। মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৪১টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন