মার্কেটের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চারদিনের মাথায় ইয়াছিন আরাফাত (২৫) নামে এক যুবক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠা পানিরছড়া পাহাড়ি জনপদে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াছিন আরাফাত টেকনাফ পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়ার মো. আব্দুল জলিলের ছেলে।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় এলজি, ৯ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৫ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ইয়াবা ব্যবসা, হুন্ডি ও পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অপরাধে জড়িত ইয়াছিন আরফাতকে সোমবার পৌরসভার লামার বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে সদর ইউনিয়নের মিঠা পানিরছড়া পাহাড়ি জনপদে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের এসআই বোরহান উদ্দিন ভুঁইয়া, এএসআই সনজিৎ দত্ত ও কনস্টেবল শুক্কুর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় এলজি, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১৫ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ইয়াছিনের পরিবার দাবি করেছে, চারদিন আগে মার্কেট এলাকা থেকে ইয়াছিনকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের পুলিশ। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াছিন মারা যাওয়ার ঘটনা প্রচার করে পুলিশ। সোমবার নাকি তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এটি মিথ্যা। তাকে চারদিন আগে মার্কেট এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইয়াছিন ইয়াবার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও ইয়াবাকারবারি সাজানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন