পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, সদর, পলাশবাড়ী, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রায় পাঁচ শতাংশ ভোট বাতিল (অবৈধ) ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ১০৪ ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে সাদুল্লাপুর উপজেলায়।
সোমবার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টি। এসব পদে সাদুল্লাপুর উপজেলায় জমা পড়া ভোটের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৮ হাজার ১০৪ টি, সদরে ১১ হাজার সাতটি, পলাশবাড়ীতে ১০ হাজার ৭৯৮ টি, সাঘাটায় ১০ হাজার ২৭১ টি ও ফুলছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার হাজার ৬৯০ টি ভোট।
মঙ্গলবার বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রহিমা খাতুন ভোট বাতিল হওয়ার কারণ মোবাইল ফোনে বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে বলে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলম বলেন, ব্যালটে সঠিক জায়গায় সিল না মারা হলে, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে গেলে, ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপার হারিয়ে গেলে, একাধিক প্রতীকে সিল দেওয়াসহ কয়েকটি কারণে ভোট বাতিল বা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) গাইবান্ধা জেলা শাখার বিশেষ প্রতিনিধি ও আইনজীবী সালাহউদ্দিন কাশেম বলেন, ভোট মানুষের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই ভোট যদি সঠিকভাবে না দেওয়ার কারণে বাতিল হয় তাহলে সেই ভোটার তার নাগরিক অধিকার থেকে নিজেই বঞ্চিত হন।
টিআইবির জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম দেশ রূপান্তরকে বলেন, এতো পরিমাণ ভোট বাতিল হওয়াটা দুঃখজনক। অসচেতনতায় এসব ভোট বাতিল হতে পারে উল্লেখ করে তিনি নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন