নবাবগঞ্জের ওসি মোস্তফা কামালের বাড়িতে দুদক পাঠান। ওসির দুর্নীতি ধরুন, সত্য-মিথ্যা তদন্ত করুন। ওসির দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে যুগান্তরের ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিককে আটক করে জেলে পাঠান হয়। আর ওসি বহাল তবিয়তে রয়ে গেলেন, এটা বেমানান।’
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) এক বিবৃতিতে এসব বলা হয়।
যুগান্তরের ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতারের এ ঘটনায় বিএমএসএফ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বিএমএসএফ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ওই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, অবিলম্বে কেরাণীগঞ্জের কারাবন্দি সাংবাদিক আবু জাফরের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ওসির দুর্নীতির সংবাদের তদন্ত করতে হবে।
নেতারা আরও দাবি করেন, ওসির এই ঘটনাটি রাষ্ট্রীয় কোনো ঘটনা নয়। আর যে কেউ বাদী হতেও পারে না। এটা নিছক সাংবাদিকদের হয়রানির অপকৌশল মাত্র।
এদিকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড়কাটা চক্রের হামলার শিকার হয়েছেন নাজমুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় এজাহার দাখিলের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা এজাহার নেয়নি। এ ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ বিদেশি সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএমএসএফ।
সংগঠনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হাবিব সারওয়ার আজাদ অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন