ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে পোড়া ভবনগুলো ভেঙেচুরে যাওয়া অবকাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কারের কাজ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছিলেন, সবকিছু পরিষ্কার করার কাজ দেখে মনে হচ্ছে যেন সেদিনের ভয়াবহতা আর শোক দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বলছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন হয়তো ভেঙে নতুন ভবন হবে, সামনের সড়ক আবার আগের মতো হবে কিন্তু এই ঘটনায় যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন কিংবা যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মনের মধ্যে যে ক্ষত তৈরি হলো, তা দূর হবে কীভাবে?
ঘটনাস্থলে দেখা গেল, চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে পানি ছিটিয়ে ও ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সিটি করপোরেশনের বড় একটি ট্রাকে পানি এনে রাস্তা ও আশপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে নন্দকুমার দত্ত সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের নিচতলা থেকে পুড়ে যাওয়া একটি শিশুর হাতের খণ্ডিতাংশ খুঁজে পান এক ব্যক্তি। এরপর সেদিকে ঘিরে ধরে লোকজন। এ সময় অনেকে মন ভার করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন আর আফসোস করছিলেন।
চুড়িহাট্টার যে ভবনগুলোতে আগুন লেগেছে তার মাঝে একটি গোল চত্বর আছে। গোল চত্বরের একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের অবকাঠামো। ঠিক তার পাশে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের ভিড়। পুরান ঢাকা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এসব মানুষ গত বুধবার রাতের আগুনের ভয়াবহতা দেখতে এসেছেন। সবার চোখেই বিস্ময় আর শোকের চিহ্ন।
চুড়িহাট্টায় গত বুধবার রাতে আগুনের ঘটনায় ৬৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৪১ জন। ঘটনাস্থলে এখনো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পর্যবেক্ষণের কাজ করছে। ঘটনাস্থলের চারটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভবনগুলোতে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শীর্ষকাগজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন