চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার একটি বাসা থেকে মো. শামীমের গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত যুবক শামীমের দ্বিতীয় স্ত্রী আশা আক্তারকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘শামীম খুন হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা আশা আক্তারকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করেছি।’
আশার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত চার মাস আগে আশাকে বিয়ে করে শামীম। পেশায় বাবুর্চি শামীর এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলো তার দুটি সন্তানও আছে। আশার বাড়ি বগুড়া ও শামীমের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক বছর আগে ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার মাস আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর আশা আক্তার জানতে পারেন, শামীম আগেও বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে। আশার কাছ থেকে প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানের কথা গোপন করে শামীম। সেই ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করে আশা । গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শামীমের সঙ্গে চট্টগ্রামে এসে ভাড়া বাসায় উঠে আশা আক্তার । সেদিনই শামীমকে ঘুমের মধ্যে খুন করে আশা বগুড়ায় পালিয়ে যান।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বামী শামীমকে নিজের করে পেতে চেয়েছিল আশা। বিয়ের পর শামীমেক বগুড়ায় স্থায়ী হতে বলে আশা। এ জন্য কিছুদিন আগেও ব্যাংক থেকে নিয়ে নগদ ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে একটি ইজিবাইক ক্রয় করে দেয়। কিন্তু শামীম তাতে রাজী হননি। অগোচরেই চট্টগ্রাম চলে আসে। সবসময় আশার কাছ থেকে টাকা চাইতো শামীম। এর মধ্যে শামীম আশাকে চট্টগ্রাম চলে আসতে বললে আশা তাতে রাজি হয়ে যান। পরিকল্পনা মতে শামীমকে বলে বগুড়া থেকে আশাকে নিয়ে আসতে। শামীম নিজে গিয়ে আশাকে বগুড়া থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ে এসে পাহাড়তলীর ভাড়া বাসায় উঠে। বগুড়া থেকে নিয়ে আসা ছুরি দিয়েই খুন করে শামীমকে। পুলিশ হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কাপড়-চোপড় উদ্ধার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন