জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম বলেছেন, দিনাজপুরের মানুষ আমাকে এতটা ভালোবাসেন, এতটা ভালোবাসা দেবেন- ঢাকা থেকে এখানে না এলে বুঝতে পারতাম না।
তিনি বলেন, আমরা দিনাজপুরের মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে জাতীয় সংসদের হুইপ বানানোর মধ্য দিয়ে দিনাজপুরবাসীকে সম্মানিত করেছেন। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা, বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন দিনাজপুরের মানুষ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমকে গণসংবর্ধনা দেয় দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, দিনাজপুরের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, সে ভালোবাসা আমার একার নয়, এ ভালোবাসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এ ভালোবাসা, আদর এবং শ্রদ্ধা সবকিছু শেখ হাসিনার জন্য। আমি স্বপ্ন দেখা মানুষ। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন এবং আমাদের জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আজকের বাংলাদেশের জন্য ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি পেয়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে এই বাংলাদেশের জন্যই শেখ হাসিনাকে বিশ্বশান্তি পদক দেয়ার কথা ভাবছেন বিশ্ব নেতারা।
হুইপ ইকবালুর রহিম আরও বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করছেন। কারণ শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হব আমরা। ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। বাংলাদেশকে আমেরিকা, চীন, জাপান, রাশিয়া ও ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাব আমরা।
ইকবালুর রহিম বলেন, গত ১০ বছরে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটিয়েছি আমরা। একসময় দিনাজপুরে ২২ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকত। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে দিনাজপুরকে লোডশেডিংমুক্ত করেছি।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, রাজনীতি একদিনের জন্য নয়, রাজনীতি হচ্ছে দীর্ঘদিনের চলার পথ। রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। আমাদের দিনাজপুরের রাজনীতিতে অনেকে এসেছিলেন, অনেকে হারিয়ে গেছেন। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা যদি সঠিকভাবে পথ চলতে না পারি, যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা মুখে না কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে না পারি, শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে নির্দেশনা অনুয়ায়ী যদি চলতে না পারি, তাহলে আমরাও হারিয়ে যাব। আমরা জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা অক্ষরে-অক্ষরে পালনের চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের কাশিপুর এলাকায় ৩ একর জমির ওপর আইটি পার্ক নির্মাণ করা হবে। যার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের বেকার যুবকরা চাকরির সুযোগ পাবে। দিনাজপুর অনেক পুরান শহর। রাস্তাঘাট ও ভবনগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। তাই দিনাজপুরে এখন অনেক যানজট। এই শহর নিয়ে আমাদের মাস্টার প্ল্যান আছে। দিনাজপুরকে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত শহরে পরিণত করব আমরা।
গণসংবর্ধনা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য আবুল কাশেম, আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান জাহানী ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন