‘কবরের লাশ জীবিত’ এমন সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়েছে গৌরীপুর। রোববার কবরকে ঘিরে দুর-দুরান্ত থেকে হাজির হয় হাজার হাজার উৎসুক জনতা। কথিত জিনের রাণী ‘রহিমা কবিরাজ’ প্রচার দেয় জোহরের নামাজের পর ‘কবর থেকে জীবিত মানুষ’ বেড়িয়ে আসবে!
এমন ঘোষণায় রহিমা আক্তারের বাড়িতেও নামে কৌতুহলী মানুষের ঢল। উপচেপড়া মানুষের ভিড় দেখে রহিমা আক্তার বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. শরীফ উদ্দীন ও মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫২)। নিজেকে জিন সাধক ও জিনের রাণী হিসাবে পরিচয় দেন। এ পরিচয়ের মাধ্যমে কবিরাজ রহিমা আক্তার নামেও পরিচিত হয়ে উঠেন এ পল্লীতে।
রহিমা আক্তার শনিবার ঘোষণা দেন, রোববার প্রতিবেশী আবু সাঈদের লাশ কবর থেকে জীবিত উত্তোলন করা হবে।
কোনাপাড়া গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদ তিন মাম আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত আবু সাঈদের মা ফাতেমা খাতুন জানান, কবিরাজ রহিমা বলেছে ‘কবরে আমার ছেলে জীবিত’ আছে। কবর কুড়ে তাকে জীবিত তুলে আনা হবে। যদি এ ছেলেকে কবর থেকে তুলে না আনি, আমার ছোট ছেলেও মারা যাবে।
তবে রহিমা আক্তারের ছেলে রুবেল মিয়া বলেন, এক সপ্তাহ আগে বাড়িত মাজারের শিন্নি রানছিলাম। বিষয়ডা আমার বউ ভালা ভাবে নেয় নাই। হেরপর থেইক্যা আম্মা বাড়ির মইধ্যে উল্টা-পাল্টা শুরু করছে।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'খবরডা আমিও হুনছি। কিন্তু আম্মারে তো ছোট বইন শরীফা আজগা সকালে বাড়িত আইয়্যা লইয়্যা গেছেগা। কই গেছে জানিনা'।
গৌরীপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন