চট্টগ্রাম মহানগরীর অভিজাত খুলশি এক নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেম সংক্রান্ত জটিলতায় ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়াইনুচিং মারমা নামে ওই উপজাতি ছাত্রীর ডায়রিতে লিখে রাখা এক সুইসাইড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই নোটে ছাত্রী তার আত্মহত্যার জন্য পরিবারের কেউ দায়ী নন উল্লেখ করেন। তবে জাহিদ নামের এক ব্যক্তিকে ধরা হলে সব জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেছেন এই ছাত্রী।
এর আগে শনিবার রাতে পুলিশ বাসার সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াইনুচিং মারমার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুলশি থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলশি আবাসিক এলাকার দক্ষিণ খুলশি এক নম্বর সড়কের সৈয়দ রহমান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে বড় বোনের পরিবারের সাথে বসবাস করতেন ওয়াইনুচিং মারমা। পড়াশোনার পাশাপাশি সম্প্রতি চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে তিনি চাকরি শুরু করেন।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাসায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যের অনুপস্থিতিতে নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওয়াইনুচিং। রাতে পরিবারের সদস্যরা বাসায় এসে বার বার কলিং বেল দিলেও দরোজা না খোলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াইনুচিংয়ের লাশ উদ্ধার করে। এই সময় লাশে কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নোটবুক, যেখানে ওয়াইনুচিংয়ের সুইসাইড নোট লেখা রয়েছে।
নোটে ওয়াইনুচিং লিখেছেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছেই এ পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য এ বাসায় বা আমার পরিবার কেউ দায়ী নয়। আমি জাহিদ আর অন্য সমস্যা থাকার কারণে নিজে বাঁচার আর পথ দেখিনি। আমার যদিবা কিছু হয়ে যায় জাহিদকে ধরলে সব বের হয়ে যাবে।’
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন