গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে সাদপন্থিদের দুই দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। আজ রোববার বাদ ফজর তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় দুই দিনের ইজতেমা শুরু হয়।
কিন্তু সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা। ফলে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের মালামাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে। অনেকে চটের সামিয়ানার নিচে পলিথিন টানিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে ইজতেমায় আগত বয়স্ক মুসল্লিরা বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা সাধারণত ইজতেমা ময়দানের উন্মুক্ত স্থানে রান্নাবান্না করে থাকেন। বৃষ্টির কারণে তাদের রান্না করাও কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। ময়দানের ভেতরে অনেককে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে জুবু-থুবু হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকলে মুসল্লিদের মাঠে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে ইজতেমা কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান মাওলানা সাদ অনুসারী মুরুব্বি সৈয়দ আনিসুজ্জামান।
এদিকে মুসল্লিদের দুর্ভোগের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইজতেমা ময়দানে ছুটে যান গাজীপুর সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি গত দুইদিনের লাখো মুসল্লির ফেলা যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কারসহ পানি, গ্যাস ও পয়:নিস্কাশন সমস্যার সমাধান করেন। সেইসঙ্গে নতুন ৩২টি পানি সরবরাহের জন্য মোটরের ব্যবস্থা করেন।
সকাল সাতটার দিকে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের সাদ অনুসারী মুসল্লিরা।
বাস, ট্রাক, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে আসছেন তারা। ইজতেমা ময়দানে ৮৪টি খিত্তায় বিভক্ত হয়ে মুসল্লিরা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।
সকালে বৃষ্টির কারণে এরইমধ্যে মাঠের অনেক স্থানে পানি জমে গেছে। রয়েছে শীতের দুর্ভোগও। বাজার থেকে অনেকে পলিথিন কিনে মালামাল ও নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
তবে আগত এসব মুসল্লিরা বৃষ্টিকে দুর্ভোগ মনে করছেন না। ভারি বর্ষণ হলেও পরকালের শান্তির আশায় শেষ সময় পর্যন্ত ময়দানে থাকতে চান তারা।
এবার স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে মাঠের অনেক স্থানে বালি ফেলা সম্ভব হয়নি। ফলে ময়দানের চারপাশ বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন