শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন মো. আল আমিন (২৭) ও শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদ (২৭)।
এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ই-মেইলে একটি মেইল আসে যে, যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিং ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার লক্ষ্যে কিছু লোক গোপন বৈঠক করছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে ক্রাইম টিম মাতুয়াইল মাদরাসা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আল আমিনকে (২৭) গ্রেফতার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজন পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন পুলিশকে জানায়, ফেসবুকে ‘তন্বয় বক্সি’ নামে একটি আইডি ব্যবহার করে। আগে ‘নয়ন চ্যাটার্জি’ ব্যবহার করত। এ আইডি ব্যবহার করে সে বিভিন্ন উস্কানি ও আক্রমণাত্মক পোস্ট দিত। সে স্বীকার করে, সাইফ ওরফে বাবুলের হাত ধরে সে ২০১৫ সালে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়। এরপর জঙ্গি সাইফ ওরফে বাবুলের মাধ্যমে উসামা ওরফে তাসকিনের সঙ্গে তার পরিচয় ও পরবর্তীতে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা পরস্পরের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, থ্রিমা অ্যাপসের মাধ্যমে কথা বলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যোগাযোগ করত। তারা টেলিগ্রামে বাংলার মুজাহিদ, সালাউদ্দিনের ঘোড়া, সবুজ পাখি গ্রুপগুলো ব্যবহার করতো।
উসামা ওরফে তাসকিন এবং সাইফ ওরফে বাবুলের সাঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আ. সালাম, ফয়জুল্লাহ, মিলাদদের নিয়ে সে নিউ জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আল আমিন আরও স্বীকার করে, সে নিউ জেএমবির সিলেট এলাকার আঞ্চলিক কমান্ডার। পালিয়ে যাওয়া দুইজন ঢাকা অঞ্চলের নেতা, তাদের সঙ্গে সংগঠনের (নিউ জেমেবির) কর্ম-পরিকল্পনা সংক্রান্তে গোপন বৈঠক করছিল।
তার দেয়া তথ্য মতে, ডেমরার স্টাফ কোয়াটার এলাকা থেকে শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়।
আল আমিনের নেতৃত্বে মিলাদসহ আব্দুস সালাম ও ফয়জুল্লাহ জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করত।
আল আমিনের কাছ থেকে একটি গোল্ডেন কালারের শাওমি মোবাইল, একটি কালো রংয়ের নোকিয়া মোবাইল, সিমবিহীন কালো রংয়ের পুরাতন ভাঙা ওয়ালটন মোবাইল ও কালিমাতুশ শাহাদাহ, সত্য কথন, প্রত্যাবর্তন, সংবিৎ, বৃষ্টি মুখর রৌদ্র মুখর, মুক্ত বাতাসের খোঁজে, তোমাকে বলছি হে যুবক, সুখময় জীবনের সন্ধানে, প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ, খুশুখুযু, সবুজ পাতার বন নামক বই জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন