পুলিশ দেখে গ্রেফতারের ভয়ে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জাফর আহমেদ মজুমদার (৫২) মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার গভীর রাতে উপজেলা পাঠান নগর ইউনিয়নের পাঠান নগর গ্রামের ফয়েজ আহাম্মদ মজুমদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়ির ঝর্না আক্তারের সাথে মোজাম্মেল হক রাকিব ও জাফর আহমেদ মজুমদারের পরিবারের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ ও পল্লী আদালতে ওই নারী অভিযোগ দিলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।
ঝর্না আক্তার রায় প্রত্যাখ্যান করে ২০১৬ সালে ৫ জনকে আসামি করে ফেনীর আদালতে জিআর ২০৬/১৬ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি নির্ধারিত তারিখে হাজিরা না দেয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়।
ঘটনার রাতে ছাগলনাইয়া থানার এসআই কামালের নেতৃত্বে এএসআই মকবুল, দিমান ও জাহাঙ্গীর আলম ও কয়েকজন কন্সটেবল আসামিদের ধরতে ওই বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মনির আহমদের ছেলে মোজাম্মেল হক রাকিব (২৪), আবু রাসেল খোকনের স্ত্রী পলি বেগমকে (২৭) গ্রেফতার করে। অপর আসামি জাফর আহমেদ মজুমদারকে ধরতে পুলিশ তার ঘরে প্রবেশ করলে তিনি চৌকির নিচে লুকিয়ে পড়েন। পুলিশ তাকে বের করে আনলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার সাহা বলেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে জাফর আহমেদ মজুমদারের মৃত্যু হয়।
মৃতের ভাই ছালেহ আহম্মদ মজুমদার জানান, তার বড় ভাই জাফর আহমেদ মজুমদারের এর আগেও দুই বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার (ওসি) এম এম মোর্শেদ পুলিশ দেখে অজ্ঞান হয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জাফর আহমেদ মজুমদারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতার অপর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন