আজ মঙ্গলবার ১৭ জুলাই দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়-বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিল সোনা হয়ে গেছে চাকতি, ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। সংবাদটিতে বাংলাদেশ ব্যংকের নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে।
এর প্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মর্তোজা তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা আমাদের সময় ডট কম এর পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-
‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা সংকর ধাতুতে পরিণত হওয়ার সংবাদে মোটেই বিস্মিত নই। রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরির তথ্য জানা গিয়েছিল।বাস্তবে চুরির পরিমান আরও বেশি ছিল কিনা, তা জানা যায়নি।কোনো অডিট হয়েছিল কিনা, জানা যায়নি।বিদেশি যে ব্যক্তিকে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করানো হয়েছিল, চুরির পর গোপণে আবার তাকেই আনা হয়েছিল। যে ব্যক্তি ও তার প্রতিষ্ঠানও ছিল সন্দেহের তালিকায়। তদন্ত হয়নি তার বিষয়ে।বাংলাদেশি যিনি কিছু তথ্য জেনেছিলেন, তিনি গুম হয়েছিলেন। তদন্ত একটি হয়েছে, অহেতুক স্থুল অজুহাত তৈরি করে তা প্রকাশ করা হয়নি।পুরো বিষয়টি চাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
৮০০ কোটি টাকা বা দুই চার কেজি স্বর্ণ বিষয়ক বিতর্কের চেয়ে, জানা দরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত জনগণের মোট সম্পদ কতটা আছে বা কতটা নিরাপদে আছে। যে পরিমান থাকার কথা বলা হয়, বাস্তবে আদৌ তা আছে কিনা। সংকর ধাতুতে পরিণত হওয়ার পরিমান আসলে কত?’’।্
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন