সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইমামের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও ইমামকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
রোববার (১৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকার হাজারীচক পশ্চিম মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
পাঞ্জেগানা জামে মসজিদের ওই ইমামের নাম হাসান আহমদ (২৫)।
শিশুটির বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। রবিবার স্কুল ছুটির পর সবাই বাড়িতে ফিরলেও তার মেয়ে বাড়িতে ফেরেনি। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে তিনি মেয়েকে খোঁজা শুরু করেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে তারা হাজারীচক পশ্চিম জামে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন। ওই সময় লোকজন মসজিদের ইমামকে ডাক দেন। কিন্তু ইমাম লোকজনকে দেখে ঘরের আলো নেভানোর চেষ্টা করেন। এতে সবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
তখন লোকজন টর্চ লাইটের আলো জ্বেলে ইমামের ঘরে নিখোঁজ শিশুটির জুতা ও স্কুলব্যাগ দেখতে পান। এরপর ঘরে তল্লাশি করে ইমামের খাটের নিচে শিশুটিকে পাওয়া যায়। শিশুটির কাপড়ে ধর্ষণের বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায় বলেও দাবি করে এলাকাবাসী। পরে ইমামকে তারা স্থানীয় মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সেখান থেকে ওই ইমামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ইমাম জানিয়েছেন- স্কুল ছুটির পর তিনি ওই মেয়েটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে ওই শিশুকে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ান তিনি। এরপর শিশুটি অচেতন হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্রীর পরিবারকে যতটুকু সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন আমরা দেবো।'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন