সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তারের রুমে রোগীর স্বজন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় চলছে।এদিকে, আজ মঙ্গলবার নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় ইন্টার্ন ডাক্তার মাক্কাম আহমদ মাহিনকে আসামি করে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত রোবরার রাতে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় এক রোগীর নাতনি স্কুলছাত্রী (১৪)কে রুমে ডেকে নিয়ে ইন্টার্ন ডাক্তার মাক্কাম আহমদ মাহিন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সোমবার অভিযুক্ত ইন্টার্ন ডাক্তার মাক্কাম আহমদ মাহিনকে হাসপাতাল থেকে আটক করে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মীর মখলিছুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে সোমবার সিলেট কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় ওই ইন্টার্ন ডাক্তারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘গত ৯ জুলাই টনসিলের অস্ত্রোপচারের জন্য আমার শাশুড়িকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮নং ওয়ার্ডের ১৪ নং বেডে ভর্তি করি। সেদিন থেকেই নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তার নানির দেখাশোনার কাজ করছিল।’
তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে শাশুড়ির গলায় অস্ত্রোপচার হয়। রাত দুইটার দিকে ডিউটি চিকিৎসক মাহিন কাগজপত্র নিয়ে আমার মেয়েকে তার কক্ষে যেতে বলেন। আমার মেয়ে কক্ষে গেলে তিনি দরজা লাগিয়ে ধর্ষণ করেন।’
ধর্ষিতার বাবার ভাষ্যে, রাতে অনেকবার ফোন করা হলেও মেয়ে ধরেনি। এক পর্যায়ে ডাক্তার মাহিন ফোন রিসিভ করেন। কিন্তু, মেয়ের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আমরা হাসপাতালে এসে তার রুমে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাই।’
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম বড় উদাহরণ এটি। ডিউটি ডাক্তারের কক্ষে এ ধরনের ঘটনা আমাদের শঙ্কিত করে তোলে। এ ধরনের অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ ওই স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতের পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় ইন্টার্ন ডাক্তার মাহিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন