রাজধানীর রমনা থানার মগবাজারের বৈকালী হোটেল থেকে বৃষ্টি আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বৃষ্টির খালাতো দুলা ভাই মাসুদ বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময়ে বৈকালী হোটেলের ৪০৭ নম্বর কক্ষ থেকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে রমনা থানার পুলিশ।
বৈশাখালী হোটেলের ম্যানেজার নোমান সিদ্দিকীর দেয়া তথ্যমতে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার সময়ে রিয়াজ ও প্রিয়া নামের দুইজন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ৪০৭ নম্বর রুমে ওঠে। পরে রিয়াজ ঘণ্টাখানেক পর নাস্তা কিনতে নিচে নামেন। পরে রুমে গিয়ে দেখতে পাই তার স্ত্রী প্রিয়া রুমের সিলিং ফ্যানের সঙে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। এরপর রিয়াজ নিজেই তাকে নামিয়ে মাথায় পানি দিতে থাকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় স্বামী পরিচয় দানকারী কথিত রিয়াজ।
মাসুদ আরো বলেন, বৃষ্টির দুলাভাই সুমন তাকে নিয়ে হোটেলে ওঠে। সুমন বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনেন গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রায় আট বছর আগে বৃষ্টির বড় বোন হাসনা বেগমকে বিয়ে করেন। পরে তিনি আরো একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। তার একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
বৃষ্টি আক্তার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বৃষ্টি আক্তার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি পরিবারের সঙে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে বসবাস করতে।রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক দীপঙ্কর কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন