এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স এক্সাম (নিট)-এ কিছু বিভাগে শূন্য পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী ডাক্তারি পড়ছেন।সোমবার একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ১৯৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭২০ জন পেয়েছেন মাত্র ১৫০ নম্বর। ১১০ জন ছাত্র কয়েকটি বিষয়ে শূন্য বা তারও কম পেয়েছেন ২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায়। ৪০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া পেয়েছেন পূর্ণ এক অংকেরও কম নম্বর।
প্রথমে বলা হয়েছিল, নিট পরীক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। কিন্তু পারসেনটাইল চালু হওয়ায় আগের শর্ত উঠে যায়।
২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা ও অংকে পৃথকভাবে কোনো কাট অফ মার্কস বা ন্যূনতম মার্কসের ব্যবস্থা নেই। এই পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ৫৩০ জন পড়ুয়া বিভিন্ন শূন্য বা এক অংকে মার্কস পেয়েও বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন।
২০১৭ সালের নিট পরীক্ষার পরই এমবিবিএসে ভর্তি হন তারা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকে মন্তব্য করছেন, শূন্য পেয়েই যদি ডাক্তারিতে সুযোগ মেলে, তাহলে নিট পরীক্ষায় বসার কোনো মানে নেই।
ভারতের বেসরকারি কলেজে বছরে অন্তত ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে ডাক্তারি পড়তে হচ্ছে ছাত্রদের। হোস্টেল বা লাইব্রেরির খরচ ছাড়াও তাদেরকে এই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
শিক্ষামহলের একাংশের অভিযোগ, নিজেদের বোর্ডেই পরীক্ষা দেয়ার কারণে পাস করতে অসুবিধা হবে না ছাত্রদের। কাজেই পরবর্তী কালে ডাক্তারি প্র্যাক্টিসে কোনো বাধা থাকবে না।
এই সমীক্ষা সামনে আসার পরই আবারও বিতর্কের মুখে পড়লো ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মত, অর্থ থাকলেই নিম্নমানের নম্বর পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া গেলে মেধার মূল্য বলে কিছুই থাকবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন