হাইকোর্টের নির্দেশে ১ম থেকে ১৩তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিবন্ধনের সমন্বিত ফলাফল গত ১০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশীদের অভিযোগ, এই ফলে প্রচুর ভুল তথ্য রয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে রোল নম্বর দিয়ে সার্চ করলে প্রার্থীর নাম আসছে না, কারও কারও সাবজেক্ট ভিন্ন দেখাচ্ছে, পুরুষের নামের স্থানে দেখাচ্ছে মেয়েদের নাম, এমনকি জাল সনদ নেওয়া প্রার্থীদের নামও এই তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময় ৯০ দিনের মধ্যে গোজামিল দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, যাদের তথ্য ভুল দেখাচ্ছে তারা যেন বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়।
জানা যায়, অসংখ্যা জাল সনদ বিতরণ, নিবন্ধন পরীক্ষা মাধ্যমে স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দিয়ে ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থীরা হাইকোর্টে ১৬৬টি রিট করেন এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে। প্রার্থীদের করা এইসব রিটের পর হাইকোর্ট ১ম থেকে ১৩তম নিবন্ধনের সমন্বিত মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য এনটিআরসিএ-কে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেন। এরপর গত ১০ জুলাই সাড়ে ৬ লাখ প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের তালিকা চাওয়া হয়। সে তালিকা এলে শূন্য আসনে মেধাতালিকা অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানানো হয়। তাছাড়া বলা হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে শূন্য তালিকা তৈরি করা হবে। তবে ফল প্রকাশের পর মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে অসংখ্যা জাল সনদধারী। এছাড়া অসংখ্য ভুল-ভ্রান্তি চিহ্নিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রার্থীরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন