প্রাইভেট না পড়ায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে অচেতন করেছেন এক শিক্ষক। শুধু তাই নয়; ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের অন্যান্য ছাত্রদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ওকে হাসপাতালে নিলে তাকেও মেরে হাসপাতালে পাঠাব।’
তাপস চন্দ্র তালুকদার নামে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পাঠদান চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক তাপস চন্দ্র তালুকদারের দাবি, ক্লাসে দুষ্টুমি করার কারণে মো. রিফাতুল ইসলাম খাঁন নামে ওই শিক্ষার্থীকে সামান্য শাসন করা হয়েছে।
তবে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জেলা জজ আদালতের এমএলএসএস মো. ইউসুফ হোসেন খানের দাবি, ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রোববার ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রের বাবা ইউসুফ আলী খান।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্ররা জানায়, তাদের ক্লাসের ২৭নং রোলধারী মো. রিফাতুল ইসলাম খাঁনকে শ্রেণিকক্ষে এসে শিক্ষক তাপস চন্দ্র কোনো কারণ ছাড়াই প্রথমে বেতের লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে রিফাতকে লাথিও মারেন।
এ সময় রিফাত অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকলে শিক্ষক তাপস চন্দ্র অন্য ছাত্রদের হুমকি দিয়ে বলেন, কেউ যদি ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাও তাকেও মেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
পরে রিফাতকে মেঝে থেকে তোলে তার সহপাঠিরা বেঞ্চের ওপর শুয়ে রাখে।
এরপর অপর শিক্ষক মো. ফয়েজ ক্লাসে এসে রিফাতকে পানি খাইয়ে ও বাতাস দিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন।
স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের সহযোগিতায় বাড়িতে ফিরে বাবা মাকে শিক্ষকের নির্যাতনের কথা জানায় রিফাত।ছেলের শারীরিক অবস্থা দেখে মো. ইউসুফ আলী খান দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
রিফাতের বাবা মো. ইউসুফ আলী খান বলেন, এর আগেও আমার ছেলেকে ওই শিক্ষক পিটিয়েছেন। তখন আমরা বলেছি, শিক্ষক ছাত্রকে মারতে পারে লেখাপড়া না করলে। এখন দেখি শিক্ষক তাপস চন্দ্র কোচিং বাণিজ্য খুলেছেন। সে কোচিং এ আমার ছেলে না পড়ার কারণে ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছেন তিনি। আমি এই শিক্ষকের বিচার চাই। ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান হোসেন বলেন, ছাত্র পেটানোর অভিযোগ দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন