টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী। শনিবার রাতে উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন- মধ্যপাড়া গ্রামের নূরু কাজীর ছেলে তারা কাজী (২৭) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে খাদিজা খাতুন (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তারা কাজী ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় খাদিজা খাতুনের প্রেমে পড়ে। আগেও একটি বিয়ে করেছে তারা কাজী। প্রায় ৩ মাস আগে ভালোবেসে খাদিজাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সে। দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী সুমাইয়া বেগম আদালতে মামলা করে।
বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজাকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন তারা কাজী। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলে পরিবারের সবাই দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে বলে। তারা বলেছিল, একে-অপরকে ছাড়া বাঁচবে না। এ ক্ষোভেই রাতে বাড়ির পাশে আমগাছে তারা কাজী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
তারা কাজীর প্রথম স্ত্রী সুমাইয়া বেগম বলেন, আমার সঙ্গে তারার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। ৩ দিন বয়সী মেয়ে তামান্নাকে রেখে ঢাকায় বিয়ে করেন তারা। তখন থেকে আমি বাবার বাড়িতেই থাকি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) রুবি আক্তার জানান, তারা কাজী শনিবার আমার কাছে এসে বলেছিল দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে দেবে। শনিবার ইফতারের পর তাদের নিয়ে বসার কথা ছিল। পরে জানতে পারলাম দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে ঘাটাইল যায়। রাতে শুনলাম আত্মহত্যা করেছে তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলালুর রহমান জানান, কিছুদিন আগে প্রেম করে দ্বিতীয় বিয়ে করে তারা কাজী। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছাড়তে পারবে না বলে হয়তো আত্মহত্যা করেছে।
সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম মিয়া জানান, প্রেমঘটিত কারণে দুইজন একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে।
ঘাটাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছাড়তে পারবে না বলে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন