ভিডিও >> পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার পর কারাগারে বসে গান গাইছেন স্নিগ্ধ
27 May, 2018
পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে ‘হত্যার’ পর থানায় গিয়ে নিখোঁজের ডায়েরি করেছিলেন। হত্যার পাঁচদিন পর থানায় নিজে গিয়ে অভিযোগ করলেও তার সুনিপুণ অভিনয়ের কারণে তখন পুলিশ বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি, ডায়েরি করতে আসা নারী নিজেই তার স্বামীকে হত্যা করেছেন।
এবার তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন কারাগারে বসে গান গেয়ে। নিজের ‘কুকীর্তির’ জন্য এরইমধ্যে দেশব্যাপী পরিচিতি পাওয়া রংপুরের আলোচিত আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক হত্যা মামলার আসামি স্নিগ্ধ ভৌমিক ঘটিয়েছেন এমন ঘটনা।
RELATED NEWS
বিয়ের বছর শেষ না হতেই প্রেমিকের হাত ধরে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
পরকীয়ার টানে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শালিকে বিয়ে
স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রাণ গেল স্বামীর, ফোনকলে খুনের তথ্য ফাঁস
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিগ্ধা সরকারকে কারাগারে নেয়ার পর অন্য কারারক্ষীদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। অনেকের সঙ্গেই তিনি খারাপ আচরণ শুরু করেন। এমন অবস্থায় তাকে ডেকে পাঠান কারাগারের কর্মকর্তারা। তখন কথোপকথনের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের গান গেয়ে শোনান তিনি। এসময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যেও কেউ কেউ তার সঙ্গে সুর মেলান।
ওই মুহূর্তের ভিডিওটি একটি গণমাধ্যমের কাছে রয়েছে। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...’ গানটি গাইতে দেখা গেছে তাকে। ভিডিওটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্বামীকে হত্যার পর কারাগারে বসে স্নিগ্ধার এমন ‘আনন্দ-উদযাপনের’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ফেটে পড়েছেন তার সমালোচনায়।
ইফতেখার আলম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, ‘পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছেন এই নারী। ওই হত্যা মামলায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে কমে যায়নি তার আনন্দ-উল্লাস। দেখুন কীভাবে গান গেয়ে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।’
আশরাফুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এই নারী একজন হত্যাকারী। নিজের স্বামীকে হত্যা করেছেন তিনি। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন তিনি কারাগারে অবস্থান করছেন। তবে স্বামীকে হত্যার পর কোনো অনুতাপ নেই তার মধ্যে। বরং গান গেয়ে ও উল্লাস করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।’
ভিডিওটির বিষয়ে রংপুর জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, আইনজীবী রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় ‘হত্যাকারীর’ পক্ষ হয়ে কোনো আইনজীবী লড়তে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গির আলম তুহিন।
তবে কোনো আইনজীবী লড়তে না চাইলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে রাষ্ট্রপক্ষ ডিফেন্স ল’ইয়ার নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন