ওপরে রাস্তা নিচে খাল, নাম তার বক্স কালভার্ট। রাজধানীর পয়নিষ্কাশন ও জলবদ্ধতা দূরীকরণে নির্মিত এই বক্স কালভার্টগুলো হয়ে ওঠেছে নগরীর বিষফোঁড়া। এসব বক্স কালভার্টের ভেতর জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার দুঃসাধ্য ও ব্যয়বহুল বলে বছরের পর বছর আবর্জনা জমে হয়ে পড়েছে অকার্যকর। ময়লা- আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরীতে বক্স কালভার্টগুলোই এখন তৈরি করছে জলাবদ্ধতা।
খাল আবদ্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তিনি জানান, কনক্রিটে তৈরি আবদ্ধ এই বক্স কালভার্টের অভ্যন্তরে আবর্জনা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে পরিষ্কার করা ঝুঁক্পিূর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণ একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও এই বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
রাজধানীর প্রায় পনের কিলোমিটার খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বক্স কালভার্ট। যার মধ্যে দশ কিলোমিটারের বেশি নির্মাণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সে বিবেচনায় ২০০৯ সালের পর থেকে ঢাকায় আর কোন বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়নি।
১৯৮৮’র বন্যার পর রাজধানীর বেশ কয়েকটি খাল আবদ্ধ করে নির্মাণ করা হয় এসব বক্স কালভার্ট। তারই একটি পান্থপথে। রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, গ্রিনরোড, কাঠালবাগানকে সংযোগ করা পরীবাগ খালের ওপর নির্মাণ করা হয় এই বক্স কালভার্ট, হারিয়ে যায় পরীবাগ খাল।
পুরান ঢাকার ধোলাই খাল এখন খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। সিটি কর্পোরেশনের করা বক্স কালভার্টের চাপে হারিয়ে গেছে প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঐতিহ্যবাহী খালটি। খালের ছোট্ট একটি অংশ অবশিষ্ট রাখা হয়েছে কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের জন্য। তাতেও পড়েছে দখলদারদের চোখ। ধোলাইখালের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণে সে এলাকার জলবদ্ধতা বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন