ছোট্ট মেয়েটির নাম আফসানা। প্রাণ খুলে হাসছে। ছুটে বেড়াচ্ছে এ ঘর থেকে ওই ঘর। যেন কিছুই হয়নি ওর জীবনে। কিছুই হারায়নি ও।
অথচ, গতকাল শুক্রবারই কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওর বাবাকে। চার মাস আগে মা তাদের ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। ষাট বছর বয়সী দাদি ছাড়া আফসানার এখন আর কেউ নেই। ছেলেকে হারিয়ে বৃদ্ধা দাদিও এখন বাকরুদ্ধ।
ময়মনসিংহে কাচিঝুলি এলাকায় একাডেমি রোডে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান আফসানার বাবা বাবু।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজ রোড থেকে বাবুর পিছু নেয় চার যুবক। অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে। প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়াতে থাকেন বাবু। সবাই তাকিয়ে দেখেছে, বাধা দেয়নি। শেষে রেললাইনের পাশে গিয়ে বাবুকে ধরে ফেলে হামলাকারীরা। তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পদতলে পিষ্ট করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তখনো কেউই বাধা দেয়নি।
হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বাবুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিহত বাবুর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নামে থানায় মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাবু, জুয়েল, রাজিব ও ফারুকসহ বেশ কয়েকজনকে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা তদন্ত করছেন ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় বাবুর লাশ তাঁর মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা একাধিক হত্যা, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি বলে তিনি জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন