দেশের সর্ববৃহৎ বিলাঞ্চল চলনবিলের ঐতিহ্যমণ্ডিত তিসিখালী মেলায় চলছে জমজমাট নেশার আসর। মেলাকে কেন্দ্র করে মাজারের চারদিকে প্রায় শতাধিক নেশার আসর বসিয়ে প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করছে একশ্রেণির মাদকসেবী ও মাজারের ভক্তরা।
শুধু তাই নয়; চলে অসামাজিক কার্যকলাপও। এলাকাবাসী এই মাদক সেবন কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে দ্বীপের মতো জনমানবশূন্য স্থানটি তিসিখালী মাজার বলে পরিচিত। এখানে সাধক, দরবেশ হজরত ঘাসি দেওয়ান (রহ.) এর মাজার রয়েছে। প্রায় চারশ' বছর আগে তিনি স্থানটিতে তিরোধিত হন। ভক্তরা সেখানে মাজার গড়ে তোলেন। আর এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই চৈত্র মাসের অষ্টম তিথিতে বিশাল এলাকা জুড়ে বসে মেলা।
আর এই মেলাকে ঘিরে রাতভর চলে নেশার আসর। এলাকাবাসী, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মেলার নামে নেশা ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মাজারের ভক্ত লাড়ুয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, এই সময় গাঁজা সেবন না করলে তাদের বাবার প্রতি কোনো ঝোঁক আসে না। তাই আসর বসিয়ে তারা কয়েকজন গাঁজা সেবন করেন।
কুষ্টিয়ার আল্লার দরগা থেকে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতি বছরই অংসখ্য ভক্তদের নিয়ে এই মেলায় আসেন। তবে মাজারের চারদিকে নেশার আসরের বিষয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন।
মাজারে মোতায়েনকৃত নাটোর জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা মেলায় জুয়াসহ অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে সচেষ্ট রয়েছেন। তবে মাজারের শত শত ভক্তদের মধ্যে গাঁজা সেবন বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন