ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
গতকাল শনিবার সংগঠনটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে তিনি এ পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আইনজীবীদের শীর্ষ সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৮-১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ‘নীল’ প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় পায়। এ প্যানেল থেকে সভাপতি, সম্পাদক, দু’টি সহসভাপতি, একটি সহ-সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয়ী হয়েছে। আর সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ‘সাদা’ প্যানেল একটি সহ-সম্পাদক ও তিনটি সদস্যসহ চারটি পদে জয়ী হয়।
নীল প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তিনি দুই হাজার ৩৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাদা প্যানেলের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৫ ভোট।
জয়নুল আবেদীন এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন। এর আগে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে, এ ভরাডুবির কারণ খুঁজছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের কাছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত প্যানেলের শোচনীয় হারের নেপথ্যে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞার ‘বাধ্যতামূলক’ প্রস্থান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যু এবং সর্বোপরি ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও কোন্দলকে দায়ী করা হচ্ছে। এসব ইস্যুতে সরকারের ভূমিকা ভালোভাবে নেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন