চৈত্র মাসে গাছে গাছে আমের গুটি ধরেছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। এর আগেই ঢাকার বাজারে চড়া দামে কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে আমের প্রতি গ্রামের মানুষের তেমন আগ্রহ না থাকলেও শহরে গলাকাটা দামে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হকারদের কাছে চার ইঞ্চি একটি আম ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
চৈত্র মাস শুরু হয়েছে। চারদিকে কাঠফাটা রোদ। গরমে জনজীবন নাভিশ্বাস অবস্থা। গাছে-গাছে আম-জামের গুটি আর কাঠালের মোচা বড় হতে শুরু হয়েছে। মাস দুই পরেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। কিন্তু তার আগেই ঢাকা শহরজুড়ে হকারদের কাঁচা আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। অকালপক্ক আমগুলো চড়া দামে বিক্রি করছেন তারা।
শুক্রবার সরেজমিনে সংসদ ভবন, টিএসসির বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। কথা হয় আম বিক্রেতাদের সঙ্গে।
সংসদ ভবন এলাকায় ফল কেটে বিক্রি করেন মিলন। দেশের বাড়ি বরিশাল। তিনি গত দুই বছর থেকে পাইকারি বিভিন্ন ফল কিনে কেটে ঝাল, মরিচ ও কাসন্ত দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করেন। আপাতত তিনি কাঁচা আম বিক্রি করছেন।
মিলন জাগো নিউজকে জানান, আব্দুল্লাপুর থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে আম কিনে আনেন। এরপর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বানিয়ে বিক্রি করেন। তিনি এক একটা আম প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আমের দাম অনেক বেশি হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতারা হাতে নিয়ে দামাদামি করেও ফিরে যাচ্ছেন। কেউবা আমের পরিবর্তে পেয়ারা কিনে খাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমের অনেক দাম। তাই তেমন বিক্রি হয় না। সারাদিনে এক কেজির বেশি বেচা যায়া না। তেমন লাভও হয় না। মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে আম লইয়া আহি। আম দেইখ্যা অনেকে পেয়ারা কিন্না খায়। পেয়ারার দাম কম। প্রতি কেজি ৮০ টাকায় কেনা। এইডা বেইচা লাভ বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আম, পেয়ারা বিক্রি করেন হাসান। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি মৌসুমি ফল কিনে এ উদ্যানের মধ্যে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে ঝাল-মরিচ দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করেন।
হাসান বলেন, এহনো বাজারো আম আহে না। তাই অনেক মানুষ কাছে আম দেখলে আহে। দাম বেশি দেইখা আম না খাইলেও পেয়ারা কিন্না লয়। শহরের পাইকারি বাজার থেকে তিনিও প্রতি কেজি আম প্রায় ৭০০ টাকা করে কিনে আনেন। দেড়শো গ্রামের আম তিনি দেড়শো টাকা করে বিক্রি করছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন