‘দেশে উচ্চ শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সমানুপাতিক হারে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়।’ এসব কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে তৃতীয়বারের মত ২য় দিনের আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের অনশনশুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সম্পর্কে বলেন, ‘সরকারি চাকরি বিশেষ করে বিসিএস-এর মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় ও প্রচুর সময়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ বছরের বয়সসীমা বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি ছাত্র সমাজকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘২০১২ সালে বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাকালীন সময়ে জাতীয় সংসদে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এর আগেও একই দাবি আদায়ে আমরা দু’বার আমরণ অনশন পালন করেছি। তবে দাবি আদায় হয়নি।’ তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
কর্মসূচিতে চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- সঞ্জয় দাস, হারুন অর রশীদ, শফিকুর রহমান, এম. আলী, আনিসুল হক, কামরুন্নাহার ঝুমা, মোহন খান প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন