‘তখন আমি সন্তানসম্ভবা। শেষদিকে প্রতি সপ্তাহে চিকিৎসকের কাছে যেতে হতো মগবাজারে। অফিস শেষে কারওয়ান বাজার থেকে মগবাজার যাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতাম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু অটোরিকশার চালকরা যেতে চাইতেন না। এত অল্পপথ তাঁরা যাবেন না! চালকদের প্রায় হাতে পায়ে ধরতাম, যত টাকা লাগে দিতে চাইতাম। তবু কেউ যাবে না। আমি একদিন রাস্তায় দাঁড়ায় কান্নাকাটি করেছি, মানসিক চাপ আর নিতে পারছিলাম না। ’
একটি করপোরেট অফিসের চাকরিজীবী মারুফা আহসান এভাবেই এনটিভি অনলাইনকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। মহানগরের পরিবহন ব্যবস্থায় এ অভিজ্ঞতা বহু মানুষের। মারুফা পরে বলেন, ‘উবার এসে আমাকে বাঁচিয়েছে।আমি উবারের কাছে কৃতজ্ঞ।’
কিন্তু নগরবাসীর স্বস্তিতে নিঃশ্বাস আর ফেলছেন না। ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে চলতে শুরু করে অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা উবার। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠা ওই সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গন্তব্যের কথা শুনে যেতে না চাওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, গাড়ি বিকল হয়ে পড়া, চালকের ভুলে যাত্রীদের জরিমানা, মাঝপথে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য করাসহ নানা অভিযোগ করছেন উবার ব্যবহারকারীরা। যাত্রীরা বলছেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে উবার।
উবার ছাড়াও রাজধানীতে পাঠাও, আমার রাইড, মুভ, বাহন, চলো, ইজিয়ার, বিডিক্যাবস, ঢাকা মটো, ঢাকা রাইডার্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা দিচ্ছে। তবে এর মধ্যে উবারের গাড়ির সংখ্যা বেশি।
২০০৯ সালের মার্চে যাত্রা শুরু হয় উবারের। বর্তমানে বিশ্বের ৬৬৩টি শহরে এই সেবা দিচ্ছে অ্যাপভিত্তিক উবার। সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৫০ লাখের বেশি মানুষ উবার ব্যবহার করে সেবা নিচ্ছেন।
গন্তব্যের কথা শুনে যেতে না চাওয়া
‘উবার ইউজার অব ঢাকা’ নামের ফেসবুক গ্রুপে আসাদুজ্জামান রয়্যাল অভিযোগ করেন, ‘বকশি বাজারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বি হলের সামনে থেকে উবার কল করলাম। দুজনের কাছে রিকোয়েস্ট যাওয়ার পর কেটে দিল। আরেকজননকে কল করলাম, তাঁকে ম্যাপে দেখাচ্ছিল লালবাগ। তবে তিনি বললেন, আমি কামরাঙ্গীরচরে আছি। আরেকজনকে ফোন দিলাম, তিনি কাছাকাছি থাকলেও, যাবেন না বলে দিলেন। এরপর আরো একজন রাইড গ্রহণ করেও কল ধরেনি। এমনকি রাইড বাতিলও করেনি। তাঁকে রাইড বাতিল করতে বললে, তিনি বাতিল করেননি। আমি জানালাম, আমি রাইড বাতিল করলে ৩০ টাকা কেটে নিবে। ওই চালক বলেন, উবারে চড়লে টাকার হিসাব করা যাবে না।’
ওই গ্রুপে নাদিয়াতিন নূর বলেন, ‘গাড়িতে ওঠার পর চালক কোথায় যাব জানতে চাইলেন। আমি বললাম, জায়গাটা পিকআপ পয়েন্ট থেকে ২ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে। চালক বিরক্তি নিয়ে বললেন, এ জন্যই আগে ডেস্টিনেশন জিজ্ঞেস করি। আমরা এত কাছের যাত্রী নেই না। নিয়ম নাই।’ চালক চাচ্ছিলেন, আমি যেন নেমে যাই, কিন্তু আমি নামিনি। ভাড়া হলো ৪০ টাকা (৭০ টাকা ছাড় ছিল)। ১০ টাকা আছে কি না জানতে চাইলে, চালক বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আপনি নেমে যান, ভাড়া দেওয়া লাগবে না আপনার। পরে আমি তাঁকে ভাঙতি করে ভাড়া দিয়েছি।
শেখ রাজিয়া মোশাররফ নামে একজন উবার ব্যবহারকারী একই গ্রুপে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যাবেও না রাইডও বাতিল করবে না। চালক বলেন, ‘বাসায় বসে থাকেন। এইটা কেমন ব্যবহার। পরে আমিই রাইড বাতিল করে দিয়েছি।’ উবারে অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে ওই চালক বলেন, ‘করেন নালিশ।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
রায়হান আহমেদ উবারের সেবা নেন প্রায়ই। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘একবার বুয়েট থেকে জিগাতলা আসার জন্য উবার নেই। প্রথমে ডিসকাউন্টসহ ভাড়া দেখায় ৮৫ টাকা। কিন্তু জিগাতলা এসে দেখি ভাড়া দেখাচ্ছে এক হাজার পাঁচ টাকা। পরে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে ড্রাইভারকে বিদায় করি।’ পরে অবশ্য অতিরিক্ত টাকা অনলাইনে ক্রেডিট (ফেরত) দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়হান।
শিবলী রায়মান নামের আরেকজন বলেন, ‘এয়ারপোর্ট থেকে মৌচাক ভাড়া দেখাল ১৬৩ টাকা। কিন্তু দেওয়ার সময় দিতে হলো ৬১৫ টাকা । রাত ছিল তখন ১টা। হুট করেই এতটা ভাড়া বেড়ে গেলে তো যেকোনো যাত্রী বিপদে পড়ে যাবে। কারণ যে হারে বিল হচ্ছে, সে পরিমাণ টাকা যাত্রীর কাছে নাও থাকতে পারে।’
একই গ্রুপে রেজওয়ান হাসান অভিযোগ করেন, ‘ধানমণ্ডির মিনা বাজার থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার পর্যন্ত উবার ঠিক করি। ভাড়া ছিল ৩১০ টাকা। তবে খিলগাঁও পৌঁছে চালক আমাকে ধোঁকা দিয়ে ৬০০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু অ্যাপসে দেখাচ্ছে, ভাড়া ৬০ টাকা। আমার ধারণা, চালক রাইড চালুই করেনি। আমাদের সে বোকা বানিয়েছে।’
সানজিদা রশিদ অনন্যা অভিযোগ করেন, ‘চালক আমাকে বললেন ভাড়া এসেছে ১৭৯ টাকা। আমি দেখতে চাইলে ওই চালক বলেন, আপু কেটে দিয়েছি। এরপর ১৯০ টাকা দিলাম। বাকি টাকা ফেরতও দেয়নি তিনি। বাসায় এসে দেখি, ডিসকাউন্ট ছিল তাই ভাড়া হয়েছিল ৫৫ টাকা। উবারে অভিযোগ করেছি কিন্তু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না।’
যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার
ইশতিয়াক ইমন নামের একজন তাঁর ফেসবুকে অভিযোগ করেছেন, ‘চালকের পছন্দমতো রাস্তায় যেতে না চাওয়ায় দুজন নারীকে রাইড বাতিল করে মাঝ পথে নামিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ করে লাভ নেই বলে হুমকিও দেয় চালক।’ চালকের ছবি ও গাড়ির নম্বরসহ ছবি দিয়ে পোস্টটি করা হয়।
মণীষা সাহা নামে উবারের সেবা গ্রহণকারী একজন বলেন, ‘চালক কল ধরেই ধমকের সুরে বললেন, আসতে দেরি হলেও রাইডের রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) যাতে বাতিল দেওয়া না হয়। ১০ মিনিট ওই চালক এসে কল দিয়ে বলেন, ‘আপনে কই? আমি আইয়া পড়ছি। গাড়ি খাড়া করতে পারুম না। আসতে চাইলে এখুনি আসেন’। মণীষা বলেন, এলিফ্যান্ট রোড থেকে চারজন উঠলাম। গন্তব্য ছিল লক্ষ্মীবাজার। গাড়িতে উঠার পর থেকেই ওই চালক বলছিলেন, ‘আপনারা জানেন না কী ঝামেলা রাস্তায়? পুরান ঢাকায় যে জঘন্য অবস্থা, কেমনে যামু?’ গন্তব্যে পৌঁছার কিছুটা আগেই নেমে যাই আমরা।’
‘উবার ইউজার অব বাংলাদেশ’ গ্রুপে শহিদুল্লাহ কায়সার লিটন নামে একজন লিখেছেন, ‘গুলশান নর্থ ক্লাবে থেকে ফিরলাম রাত ১০টার কিছু পরে। ভাড়া আসল ১৭৫ টাকা, দিলাম ১৮০ টাকা। সঙ্গে বাচ্চা আর বাইরে হালকা বৃষ্টি থাকায় তাড়াতাড়ি বাসায় প্রবেশ করি। দুই থেক তিন মিনিট পর দোকানে যাওয়ার জন্য বের হই। গাড়িটি গেটের সামনেই আছে দেখে খটকা লাগল। কোন সমস্যা, এখনো যাননি। চালক বলল, না এমনি কোনো সমস্যা নেই। পরে উবারের অ্যাপস খুলে দেখি একটি ম্যাসেজ। লেখা ছিল, ‘ আপনার চালক রিপোর্ট করেছেন, আপনি ৩২১ টাকা ৭৮ পয়সা পরিশোধ করেননি। পরের ভ্রমণে পরিশোধ করুন।’
চালকের ভুলে যাত্রীদের জরিমানা
রিপন নামের আরেকজন উবার ব্যবহারকারী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর থেকে উবারের জন্য কল করি। জসিম উদ্দিন রোড থেকে চালক আসছেন বলে জানান। এরপর বারবার কল করলেও ধরেননি ওই চালক। ৪০ মিনিট পর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে গিয়ে বলেন, কাছেই আছি, চলে আসছি। আমার দেরি হওয়ায় চালককে বলি রাইড বাতিল করতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। আমি রাইড বাতিল করি। এরপর থেকেই আমি উবার ডাকতে পারি না। আমার কাছে ক্ষুদে বার্তা আসে, ৩০ টাকা বকেয়া রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে আমি উবারকে অভিযোগ করি। তারাও উত্তর দেয়। তিন বার অভিযোগ করার পর জানুয়ারি থেকে আমি উবার ব্যবহার করতে পারছি।’
রিপন বলেন, ‘একবার উত্তরা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। এক চালক খুব বাজে চালাচ্ছিল। আমি তাঁকে ধীরে চালাতে বললে ওই চালক বলেন ‘আপনি বসে থাকেন, এত কথা বলেন ক্যান। এরপর গাড়ি ধীরে চালালেও রাস্তার মাঝখানে আমাদের নামিয়ে দেন। রাস্তার এক পাশে নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও রাখেননি ওই চালক। এ ছাড়া ভাড়া খুব বেশি দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ভাড়ার পলিসিগুলো গ্রাহগকদের কাছে পরিষ্কার করা উচিত।’
চালকের অভিনব আবদার
খান আতিকুর রহমান নামের আরেকজন উবার যাত্রী ‘উবার পাঠাও ইউজার ইন বাংলাদেশ’ নামের একটি ফেসবুকের গ্রুপে অভিযোগ করেন, ‘একজন উবার চালক আমার রাইড বাতিল করে দিয়েছে। ওই চালক আমাকে উবারের মাধ্যমে না গিয়ে ভাড়া চুক্তিতে যেতে বলে। রাইড বাতিল করার আগে তিন বার মিস কল দিয়েছেন, আমার মোবাইলে। যাতে তিনি প্রমাণ করতে পারেন, কল না ধরায় তিনি রাইড বাতিল করেছেন। তবে রাইড বাতিল করায় ৩০ টাকা জরিমানা গুণতে হচ্ছে আমাকে। দুই ভাবে লাভ করার নতুন পদ্ধতি।’
‘সার্জে’র কারণে ভাড়া বাড়ে
যখন চাহিদার চেয়ে গাড়ি কম থাকে ওই সময়টাকে সার্জ বলা হয়। তখন নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সাধারণত সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উবারের চাহিদা বেশি থাকে।
তিন ধরনের সেবা দেয় উবার। এগুলো হচ্ছে, উবার এক্স, উবার প্রিমিয়ার, উবার মটো। উবার এক্সের নিয়মিত ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১৮ টাকা, ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট তিন টাকা। আর সর্বনিম্ন ভাড়া ৪০ টাকা। উবার প্রিমিয়ারের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ টাকা। প্রতি কিলোমিটার ২২ টাকা। এ ক্ষেত্রেও ওয়েটিং চার্জ তিন টাকা প্রতি মিনিট।
চালকরা যা বলছেন
উবার চালক রবিন আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি শুক্রবার ও শনিবার গাড়ি চালান। রবিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিপণন বিভাগে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক উবার চালকই পার্টটাইম এই কাজ করেন। যে কারণে সব রাস্তা ঠিক মতো চিনেন না। আর উবারের অ্যাপসেও অনেক সময় সঠিক জায়গা দেখায় না। যার কারণে যাত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়। রাইড বাতিল করলে ৩০ টাকা দিতে হবে। এজন্য যাত্রী বা চালক কেউ রাইড বাতিল করতে চান না। আর ভাড়া বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হলো, ভাড়ার সঙ্গে জামে থাকলে সেই সময়ের চার্জ যুক্ত হয়।’
আরেকজন উবার চালক মোহাম্মদ রেজওয়ান মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘যাত্রীর রাইড গ্রহণ করার পর নির্দিষ্ট স্থান থেকে তুলে আনতে গেলেও অনেক সময় লাগে। জ্যামের জন্য রাস্তায় বসে থাকতে হয়। আবার গ্যাসও ফুরায়। এজন্য খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। উবার যদি ভাড়া আরেকটু বাড়াত, তাহলে ভালো হতো।’
উবার নিবন্ধিত গাড়ির মালিক মির্জা মুহতাসিম আবিদ এনটিভি অনলাইন বলেন, ‘চালকদের জন্য উবার টার্গেট দিয়ে থাকে। ৩২টি ট্রিপ দিলে তিন হাজার ২০০ টাকা, ৪৪টি ট্রিপ দিলে পাঁচ হাজার টাকা, ২২টি ট্রিপ দিলে এক হাজার ৮০০ টাকাসহ বেশ কয়েকটি টার্গেট দেয়। ট্রিপের মোট ভাড়ার মাত্র ২৫ ভাগ নেয়।’
এদিকে অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাগুলোকে আইনের আওতায় আনতে রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে সেই নীতিমালা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তালিকাভুক্তির সনদ নেওয়াসহ ১১টি শর্ত দেওয়া হয়েছে ওই নীতিমালায়।
উবার ব্যবহারকারীদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এনটিভি অনলাইন উবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। দুই দিন পর বেসরকারি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর ওই মেইলের উত্তর দেয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা বাংলাদেশে উবারের জনসংযোগ ও যোগাযোগসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখছেন। ওই জবাবে জানানো হয়, উবার ব্যবহারকারীরা অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কত অভিযোগ এসেছে, এগুলোর কতগুলো সমাধান করা হয়েছে -এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।
উবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উবারের কার্যক্রম তদারকি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটি সম্পূর্ণই বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) বিষয়। এখনো বিষয়টি বিআরটিএ দেখা শোনা করছে। এখনো এটি আমাদের আওতায় আসেনি।’ তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এরপর বিষয়টি নিয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন