সম্পর্কের সূত্র ধরে শ্রাবণী রায়কে (৩০) বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন যশোর পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ-আল মাসুম। এরপর শ্রাবণী তার স্বামী দীপঙ্করকে ডিভোর্স দেন।
এ নিয়ে সালিস-মীমাংসা বৈঠকও হয়। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু, পৌরসভার আলোচিত এই ঘটনা ফের সামনে এল বৃহস্পতিবার।
শ্রাবণী রায়ের অভিযোগ, মাসুম তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পশ্চিম বারান্দী খালধার রোডের বাসায় এসে কুপিয়ে জখম করেন মাসুম।
আর্তচিৎকারে পরে প্রতিবেশীরা এসে শ্রাবণী রায়কে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক আশরাফিন নাসরিন দৃষ্টি পরিবর্তন ডটকমকে জানান, শ্রাবণীর ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তিনি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রাবণী রায় সাংবাদিকদের জানান, পৌর সচিব আক্দুল্লাহ-আল মামুন তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার (মাসুম) স্ত্রীকে জানানোর হুমকি দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে সকালে বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
তিনি দাবি করেন, ছুরিকাঘাতের এক পর্যায়ে মাসুম আমাকে বালিশচাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন। চিৎকার দিলে পাশের ফ্লাটের বাসিন্দারা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে এরই ফাঁকে মাসুম পালিয়ে যান।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর কাউন্সিলর পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ‘শ্রাবণী রায়কে মাসুম বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। এ কারণে শ্রাবণী তার স্বামী দীপঙ্করকে ডিভোর্স দেন। সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলামের সময়ে এ নিয়ে পৌরসভায় ঝামেলা দেখা দিয়ে সালিস বৈঠক হয়েছিল।’
তবে অভিযুক্ত পৌর সচিব আব্দুল্লাহ-আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুনেছি। অফিসের কাজে বাইরে আছি। ভিকটিমকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন