রাজধানীরই একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা মিলে চাঁদা দিয়ে তৈরি করেছেন ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র কেনার তহবিল। সেই তহবিল থেকে প্রতি পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করা হয়।
দৈনিক প্রথম আলো আজ এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্য ও বিমুঢ় করে দেয়া তথ্যই জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশ্নগুলো চটজলদি সমাধানের জন্য রয়েছে শিক্ষকদের একটি দলও। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বেচার সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার এমন তথ্যই দিয়েছেন র্যাব-৩-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
র্যাব বলেছে, গতকাল ভোর চারটা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে তাঁদের একজনের মুঠোফোনে জীববিজ্ঞানের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র চলে আসে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল রাজধানীর উত্তরখান ও গাজীপুর থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বেচাকেনার অভিযোগে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁদের বিষয়ে জানাতে গতকাল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজনই শিক্ষক। তাঁরা হলেন উত্তরখানের কাচকুড়ার ক্যামব্রিজ হাইস্কুল নামের একটি বেসরকারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তানভীর হোসেন (২৯) ও সজীব মিয়া (২৬) এবং সৃজনশীল নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. ইব্রাহিম (২১) ও এনামুল হক (২৭)।
গ্রেপ্তার আরেকজন হাসানুর রহমান (২৯) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের ছাত্র। অনলাইনে রকিভাই নামে পরিচিত হাসানুর চার বছর ধরে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন অনলাইনে বেচে আসছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন