পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দুই যুবক-যুবতী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার দুপুরে স্বপ্না খাতুন (১৯) আর সোমবার সকালে রফিকুল ইসলামের (২২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বপ্না খাতুন উপজেলার রূপপুর গ্রামের মাজপাড়া এলাকার এনামুল হকের মেয়ে। আর রফিক পাকশী রেলওয়ে গার্লস স্কুলপাড়ার সহির উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই স্বপ্না আর রফিকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গত শনিবার সকালে পাকশী কলেজ চত্বরে রফিক ও স্বপ্না খাতুনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর কলেজ থেকে ফিরে স্বপ্না খাতুন নিজ বাড়ির শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রফিকের স্বজনরা জানান, স্বপ্নার আত্মহত্যার খবর পেয়ে রফিক কান্নায় ভেঙে পড়েন। সারারাত নির্ঘুম থাকার পর ভোরে রফিক বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে সকালে তাঁরা শুনতে পান যে, পাকশী রেলওয়ে হাসপাতালের পাশে কদম গাছের ডালে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
রফিকের সহপাঠীরা জানান, রফিক ঈশ্বরদী ইপিজেডে নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। ময়নাতদন্তে দুটো ঘটনাই আত্মহত্যার আলামত পাওয়ায় যায়।
এ ব্যাপারে থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন